🚩Hypoxia কি?




🚩Hypoxia কি?

➡এই টার্ম টা অনেকের কাছে নতুন। হাইপোক্সিয়া মানে শরীরের কোষে অক্সিজেন, স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।
➡হ্যাপি হাইপোক্সিয়া মানে আপনি খুব স্বাভাবিক, কিন্তু এইদিকে আপনার  শরীরের ভেতরের  অক্সিজেন কমে গিয়ে অংগ প্রত্যংগ গুলোর বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। এক সময় অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে যা থেকে ফিরে আসা সম্ভব না।
➡আমাদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে অক্সিজেন এর স্যাচুরেশান ৯৫% থেকে ১০০% এ ওঠানামা করে। এর নীচে নামলে বুঝতে হবে কোষে হাইপোক্সিয়া শুরু হচ্ছে। 
➡৯০% এর নীচে থাকলে তখন confusional,  Irritable state এ থাকে ব্রেইন।
➡৮০% থেকে ৭৫% এর নীচে saturation নামলে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থায় পৌছে যায়। 
➡বেশিক্ষন কোষ হাইপোক্সিয়ায় থাকলে এক সময় মরে যায়।
➡ব্রেন এ ৫ মিনিট,  হার্ট এ দশ মিনিট,  পায়ে ৬ ঘন্টা অক্সিজেন না থাকলে মরে যায়।  
➡কম থাকলে মারা যেতে একটু সময় বেশি নেয়। 
➡অবাক করার বিষয় হল, কোভিড আক্রান্ত রোগী সাধারণ জ্ব্রর নিয়ে বসে আছে,  গল্প করছে বা মোবাইলে চ্যাট করছে কিন্তু এদিকে স্যাচুরেশান 80% হয়ে বসে আছে। 
 উনি জানেনও না এবং তাঁর ন্যুনতম খারাপ বোধ হচ্ছেনা।এদিকে নাকের আগা,  কানের লতি নীল হয়ে আছে।
➡ দীর্ঘক্ষন অক্সিজেন না পেয়ে হার্ট টা হঠাত বন্ধ হয়ে  যেতে পারে। 
➡হাসপাতালে স্বাভাবিক আচরনের রোগীর শরীরে পালস অক্সিমিটার বসিয়ে প্রায়ই স্যাচুরেশান 80%, 70% পাওয়া যাচ্ছে।  জিজ্ঞেস করলে রোগী বলে তাঁর কোন অসুবিধা লাগছেনা।  কিন্তু এর কিছু সময় পরে কি হতে চলেছে উনি নিজেও আন্দাজ করতে পারছেননা। 
➡তাই জ্বর, গলা ব্যাথার রোগী একটা পালস অক্সিমিটার সাথে থাকলে ৪ ঘন্টা অন্তর একটু দেখে নিলে নিশ্চিত থাকা যায়। 
➡সাধারন অবস্থায় মাপার দরকার নেই। 
➡94 % এর নীচে আসলে আগেই সতর্ক হয়ে ডাক্তার এর দ্বারস্থ হওয়া যায়, বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায়। 
➡হ্যাপি হাইপোক্সিয়া করোনা সংক্রমণের একটা অবাক করা বিষয়। শ্বাস নিতে পারছেন,  কিন্তু সেই অক্সিজেন রক্তে পৌছাচ্ছেনা । তাই কোষ পাচ্ছেনা। আর বোঝাও যাচ্ছে না কোন উপসর্গ না হওয়ার কারনে।

 ⛔এর কারন এখনো অস্পষ্ট।

✳তাই জ্বর, গলা ব্যাথার রোগীর একটা পালস অক্সিমিটার থাকা জরুরী। 
➡কোভিড এর রিপোর্ট আসার আগেই করোনার  উপসর্গ যুক্ত রোগী আংগুলে লাগিয়ে মাঝে মাঝে দেখলে সচেতন থাকা যায়।
 

Post a Comment

0 Comments