⭕ করোনা প্রতিরোধে ভিটামিন ডি
করোনা বা COVID 19 ভাইরাস প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ পন্থা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভিটমিন সি অনেক কার্যকরী এটা সবাই ইতিমধ্যে আমরা জানি। কিন্তু শুধুমাত্র ভিটামিন সি দ্বারা করোনা মোকাবেলা সম্ভব নয়। শরীরে সব কয়টি ভিটামিন সঠিকভাবে কাজ না করলে ইমিউনিটি দূর্বল হয়ে যায়, রোগাক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধে অনেক কার্যকরি। করোনা মোকাবেলায়ও ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅সম্প্রতি বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষদের বেশিরভাগেরই ভিটামিন ডি’র ঘাটতি ছিল।করোনা প্রতিরোধে ভিটামিন ডি বিষয়ে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য মতবাদটি হলো, রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকলে সেটা সাইটোকাইন স্টর্ম (Cytokine Storm) নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ন্ত্রণ করোনাক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
✅প্রতি মিলিলিটার রক্তে কমপক্ষে ২০ ন্যানোগ্রাম বা তার বেশি ভিটামিন-ডি থাকা উচিত। যদি রক্তে ভিটামিন ডি’র পরিমাণ মিলিলিটার প্রতি ১২ ন্যানোগ্রাম গ্রাম বা এরচেয়ে কম হয়, তাহলে সেটাকে ভিটামিন ডি ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
⭕কোথায় পাবো ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি মানবদেহে তৈরি হয়। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো (Photon)। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি তৈরিতে সহায়ক। শীতপ্রধান দেশের মানুষ খুব বেশি সূর্যের আলো পায় না। ফলে সে সব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি খুব বেশি।
সাধারণত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মানুষের শরীরে ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকার কথা নয়। তবুও খাবারের ধরন ও বৈচিত্রের অভাব বা অন্যকোনো সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকের শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থাকতে পারে।
✅ ভিটামিন ডি এর খাদ্য উৎস
১) সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল,
২) ডিমের কুসুম,
৩) প্রাণীর কলিজা
৪) মাশরুম ( দেশে প্রাপ্ত ওয়েস্টার মাশরুমে ১০৯ মাইক্রোগ্রাম/১০০গ্রাম ভিটামিন ডি২ পাওয়া যায়)
৫) ইলিশ
৬) ভিটামিন ডি ফর্টিফাইড দুধ, তেল
⭕ প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে দুপর ৩ টার মধ্যে প্রত্যেকের ২০-৩০ মিনিট শরীরের ১/৩ অংশে সরাসরি রোদ লাগানো উচিত। এছাড়া ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরনে
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সরাসরি ভিটামিন ডির সাপ্লিমেন্টও সেবন করা যেতে পারে।
করোনার যেহেতু এখন পর্যন্ত তেমন কোন প্রতিষেধক বা কার্যকরি ওষুধ নেই, তাই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডির লেভেল ঠিক রাখার জন্য এ সব ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
0 Comments